Powered By Blogger

Thursday 9 November 2017

শাহরাস্তিতে গ্রাম আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ গুরুত্ব শীর্ষক কর্মশালা

শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ স্থানীয়ভাবে সহজে, স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং অন্যায়ের প্রতিকার লাভের জন্য তৃণমূলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের সক্ষমতা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ, জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা-ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প’ -এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় স্থানীয় সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ষ্ট্রাষ্ট (ব্লাষ্ট) এ সভার আয়োজন করে। ধারাবাহিকভাবে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শাহরাস্তি উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজিঁ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিব উল্যাহ ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী শাম্মীনাজ আলম। কর্মশালায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা স্থানীয় সরকারের গ্রাম আদালত বিষয়ক ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর নিকোলাস বিশ্বাস। সভাটি সঞ্চালনা করেন গ্রাম আদালতের শাহরাস্তি উপজেলার সমন্বয়কারী গেীতম কুমার সরকার। কর্মশালায় অত্র উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত সংরক্ষিত আসনের সকল নারী সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজিঁ তার বক্তব্যে বলেন, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নারী বা পুরুষ প্রত্যেকেরই বিচার প্রাপ্তির অধিকার রয়েছে। বাড়ির কাছেই গ্রাম আদালত; গ্রাম আদালতে কম সময়ে কম খরচে বিচার পাওয়া সম্ভব; নিজের পরিচিত পরিবেশে বিচার হয় বলে নারীর জন্য নিজের সব কথা সহজে বলা যায়; নিজের পছন্দমত প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া যায় বলে নারী বিচার প্রার্থীগণ সহজেই গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার সুযোগ পান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিব উল্যাহ বলেন,  গ্রাম আদালত আইন অনুযায়ী নারী বিরোধের পক্ষ হলে বা স্বার্থ জড়িত থাকলে অথবা শিশুর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে কমপক্ষে একজন নারী প্রতিনিধি মনোনয়ন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাছাড়া প্রত্যেক পক্ষ ২ জন করে যখন প্রতিনিধি নিয়োগ করে সেই প্রতিনিধি নারী বা পুরুষ যে কেউই হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রধান বিবেচনার বিষয় হলো তিনি বিরোধের বিষয় সম্পর্কে অবগত রয়েছেন, যিনি বিচার প্রার্থীর পক্ষে আদালতে কথা বলবেন এবং যার সুবিবেচনাবোধ রয়েছে, এবং যার প্রতি আস্থা রাখা যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে বিচারের নামে কেউ যেন হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি গ্রাম আদালতের বিচারিক প্যানেলের সকল সদস্যদের সহযোগিতা ও আন্তরিকতা কামনা করেন। কর্মশালার মূল আলোচক নিকোলাস বিশ্বাস বলেন, গ্রাম আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় নারী ও পুরুষ প্রতিনিধির অধিকার ও গুরুত্ব সমান। প্রত্যেকে প্যানেল সদস্যের ভোটের গুরুত্ব সমান। তাছাড়া নারীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একজন নারী প্রতিনিধি নারীর সমস্যাটি ভালো অনুধাবন করতে পারেন। 

No comments:

Post a Comment

শাহরাস্তিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিক আশ্রয়ণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

শাহরাস্তিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিক আশ্রয়ণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ বিশেষ প্রতিনিধিঃ চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে সরকারের অগ্রাধিকার ভ...